শিশুটি মা হারানো নয়, শিক্ষকের সন্তানও নয়
দুরবিনবিডি টোয়েন্টিফোর নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে গত সোমবার (৩০ আগস্ট) একটি ছবি পোস্ট করে তার ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মারা গেছেন মা, বাবা এই ভাবেই বাচ্চা কোলে নিয়ে শিক্ষকতা করছেন।’
ছবিটিকে ‘স্ত্রী মারা যাওয়ার পর নিজ সন্তান কোলে নিয়ে বাবা শিক্ষকতা করছেন’ বলে দাবি করে প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকসহ বিভিন্ন ওয়েবসাইটের পোস্টে। দেশ বিদেশের অনেকেই একই দাবি করে ছবিটি পোস্ট করেছেন। দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
অথচ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস ফ্যাক্টচেকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, শিক্ষকের কোলে থাকা শিশুটির মা মারা যাননি এবং শিশুটি ওই শিক্ষকের সন্তান নয় বরং এটি তাঁর ক্লাসে উপস্থিত একজন ছাত্রীর। ক্লাস চলাকালে শিশুটিকে বেবি বেল্টের মাধ্যমে বুকে বেঁধে রেখেছিলেন ওই শিক্ষক, যাতে শিশুটির মা ক্লাসে মনযোগী হতে পারেন।
এদিকে ভারতের প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা অবনিশ স্মরণ তার ভেরিফায়েড টুইটার একাউন্টেও ভুলভাবে শিশুটিকে শিক্ষকের বলে দাবি করে পোস্ট করেছেন। ওই টুইটের মন্তব্যে ভারতীয় সাংবাদিক মীনাক্ষ্মী জোশিও তার ভেরিফায়েড টুইটার একাউন্ট থেকে কর্মজীবী বাবাদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে মন্তব্য করেন।
মূল ঘটনা মেক্সিকোর অ্যাকাপলকো শহরের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের। সেখানকার আইন বিভাগের অধ্যাপক ময়জেস রেয়েস স্যান্দোভাল নিজের ফেসবুকে ছবিটি পোস্ট করে বলেন, ‘আমার একজন ছাত্রী আছে, ভিন্ন বাস্তবতা থাকা সত্ত্বেও যে স্কুলে ঝরে পড়েনি। ক্লাসে নোট নিতে যাতে ঝামেলা না হয় সেজন্য আমি তার সন্তানকে কোলে নিয়ে নেই।’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএনের স্প্যানিশ সাইটের নিউজে এসব তথ্য দেওয়া হয়। সিএনএনের ওয়েবসাইটের অটো ট্রান্সলেটরে ইংরেজি করে তা থেকে এসব তথ্য পাওয়া যায়।